গাজায় এক মাস ধরে বন্ধ ত্রাণ প্রবেশ, দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা

ছবি সংগৃহীত

 

ডেস্ক রিপোর্ট : এক মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ রয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর এবারই প্রথম এত দীর্ঘ সময় উপত্যকায় ত্রাণ ঢুকতে পারছে না। আজ বুধবার জাতিসংঘের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

 

ইসরায়েলি প্রশাসন দাবি করছে, গাজায় যথেষ্ট পরিমাণ খাবার রয়েছে। নতুন করে ত্রাণ সহায়তার আপাতত কোনো প্রয়োজন নেই। জাতিসংঘ ইসরায়েলের এমন দাবিকে ‘হাস্যকর’ অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে গাজায় শিগগিরই দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে বলে সতর্ক করেছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।

 

একদিকে ত্রাণ প্রবেশে বাধা, অন্যদিকে নির্বিচারে গুলি আর বোমা হামলা। সব মিলিয়ে মানবতার চরম বিপর্যয় দেখছে গাজা উপত্যকা। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আজ বুধবার সকালে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে অন্তত ২১ ফিলিস্তিনি। নতুন করে উপত্যকার বাইত লাহিয়া, বাইত হানুন এবং উত্তরাঞ্চলীয় আরও কয়েকটি এলাকা খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খালি করতে বলা হয়েছে রাফাহও। কিন্তু এসব এলাকার বাসিন্দাদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই।

 

শহরগুলোর বাসিন্দারা জীবন বাঁচাতে গোলাগুলি আর বোমাবর্ষণের মধ্যেই এক কাপড়ে নিরুদ্দেশে রওনা হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে গাজাকে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থান আখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থা ওসিএইচএ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে সংস্থাটি লিখেছে, ‘গাজার মানুষ গুলি আর বোমার মধ্যেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইসরায়েলের নির্দেশ দেওয়া জায়গাগুলো ছেড়ে যাচ্ছেন। এটা খুবই বিপজ্জনক। গাজা এখন বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক জায়গাগুলোর একটি।

 

এরই মধ্যে পালাতে গিয়ে ইসরায়েলি সেনাদের ছোড়া গুলিতে আহত হয়েছেন কয়েকজন। এক বৃদ্ধ আলজাজিরাকে বলেন, ‘গাড়ি-ঘোড়া কিছু নেই। আমরা হেঁটে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম। ভয়ে পেছন ফিরে তাকাতে পারছিলাম না। আমাদের সঙ্গে থাকা বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। কোনোমতে আমরা পালিয়ে বেঁচেছি। দেখতে পাই রাস্তার ধারে থাকা তাঁবুগুলো ইসরায়েলি সেনারা পুড়িয়ে দিয়েছে।’ সূত্র: আলজাজিরা

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» মুক্তিযোদ্ধা বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন 

» অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম এখন সর্বোচ্চ

» এক ইলিশ বিক্রি হলো ১০ হাজার টাকায়

» ‘নির্বাচনে জোরপূর্বক জয় ছিনিয়ে নেওয়ার সংস্কৃতি আর চাই না’

» তলানির দিকে যাচ্ছে বিএনপি, সংসদ নির্বাচনে ১০০’র বেশি আসন পাবে না: এনসিপি

» বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কুমিল্লাকে বিভাগ করা হবে : খোন্দকার মোশাররফ

» এয়ারটেল গেমিং এরেনা-এর যাত্রা শুরু, ‘পাবজি মোবাইল’ এর সঙ্গে অংশীদারিত্বের ঘোষণা

» দুর্গাপূজায় ব্র্যাক ব্যাংক কার্ডে পাওয়া যাচ্ছেসর্বোচ্চ ৫৫% ডিসকাউন্ট

» নরসিংদীতে সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় তিন আসামীকে কারাগারে

» দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে রেস্টুরেন্ট ও লাইফস্টাইল পণ্য কেনাকাটায় নগদের আকর্ষণীয় ক্যাশব্যাক

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

গাজায় এক মাস ধরে বন্ধ ত্রাণ প্রবেশ, দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা

ছবি সংগৃহীত

 

ডেস্ক রিপোর্ট : এক মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ রয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর এবারই প্রথম এত দীর্ঘ সময় উপত্যকায় ত্রাণ ঢুকতে পারছে না। আজ বুধবার জাতিসংঘের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

 

ইসরায়েলি প্রশাসন দাবি করছে, গাজায় যথেষ্ট পরিমাণ খাবার রয়েছে। নতুন করে ত্রাণ সহায়তার আপাতত কোনো প্রয়োজন নেই। জাতিসংঘ ইসরায়েলের এমন দাবিকে ‘হাস্যকর’ অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে গাজায় শিগগিরই দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে বলে সতর্ক করেছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।

 

একদিকে ত্রাণ প্রবেশে বাধা, অন্যদিকে নির্বিচারে গুলি আর বোমা হামলা। সব মিলিয়ে মানবতার চরম বিপর্যয় দেখছে গাজা উপত্যকা। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আজ বুধবার সকালে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে অন্তত ২১ ফিলিস্তিনি। নতুন করে উপত্যকার বাইত লাহিয়া, বাইত হানুন এবং উত্তরাঞ্চলীয় আরও কয়েকটি এলাকা খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খালি করতে বলা হয়েছে রাফাহও। কিন্তু এসব এলাকার বাসিন্দাদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই।

 

শহরগুলোর বাসিন্দারা জীবন বাঁচাতে গোলাগুলি আর বোমাবর্ষণের মধ্যেই এক কাপড়ে নিরুদ্দেশে রওনা হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে গাজাকে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থান আখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থা ওসিএইচএ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে সংস্থাটি লিখেছে, ‘গাজার মানুষ গুলি আর বোমার মধ্যেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইসরায়েলের নির্দেশ দেওয়া জায়গাগুলো ছেড়ে যাচ্ছেন। এটা খুবই বিপজ্জনক। গাজা এখন বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক জায়গাগুলোর একটি।

 

এরই মধ্যে পালাতে গিয়ে ইসরায়েলি সেনাদের ছোড়া গুলিতে আহত হয়েছেন কয়েকজন। এক বৃদ্ধ আলজাজিরাকে বলেন, ‘গাড়ি-ঘোড়া কিছু নেই। আমরা হেঁটে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম। ভয়ে পেছন ফিরে তাকাতে পারছিলাম না। আমাদের সঙ্গে থাকা বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। কোনোমতে আমরা পালিয়ে বেঁচেছি। দেখতে পাই রাস্তার ধারে থাকা তাঁবুগুলো ইসরায়েলি সেনারা পুড়িয়ে দিয়েছে।’ সূত্র: আলজাজিরা

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com